খুলনা জেলার কুয়েট রোডে গত ২ নভেম্বর রাতে ঘটে এক নৃশংস হামলা। মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি খুলনার স্থানীয় বিএনপি নেতার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে বোমা নিক্ষেপ এবং গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ইমদাদুল হক (৪৮), যাকে স্থানীয়রা দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কেএমসিএইচ) নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হামলায় আহত হন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুন শেখ (৪৫), বেল্লাল খান (৫৫), এবং মিজানুর রহমান (৫৮)। তাদের মধ্যে মামুন এবং বেল্লালকে কেএমসিএইচে ভর্তি করা হয়েছে, এবং মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শিক্ষক ইমদাদুল হক এবং আরও কয়েকজন মাহফিলের (ধর্মীয় সমাবেশ) জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে অফিসে উপস্থিত ছিলেন। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে এসে কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং বোমা ও গুলি ছুঁড়ে।
নিহতের ছেলে অনিক বলেন, “আমার বাবা একটি মাহফিলের জন্য টাকা সংগ্রহ করছিলেন। তিনি খুব দয়ালু মানুষ ছিলেন। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হব। এখন আমি জানি না কীভাবে পড়াশোনা চালাব।”
বিএনপির খান জাহান আলী থানা শাখার সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান অভিযোগ করেছেন, হামলার উদ্দেশ্য ছিল মামুন শেখকে হত্যা করা। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তুহিনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, জড়িতদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত চলছে।
আড়ংঘাটা থানার ওসি খায়রুল বাশারও নিশ্চিত করেছেন, হামলাকারীরা দলীয় বৈঠকের সময় বোমা নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়েছিল।