জুলাই সনদ তৈরি করাই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য—এমনটি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
“জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে প্রথম পর্যায়ের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো নিয়েই তৈরি হবে জুলাই সনদ। বিভক্তিকরণের জন্য রাজনীতি সৃষ্টি করা হয়নি—রাজনীতি সৃষ্টি হয়েছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য, দেশের মঙ্গলের জন্য। সেই সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।”
তিনি আরও বলেন,
“সারাদিনের মিটিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই যখন আপনাদের সঙ্গে বসে আলাপ করি। কারণ এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরণ জাগায় যে এরকম একটা কাজের সঙ্গে জড়িত হতে পেরেছি। আমাদের কাছে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংস্কার করার জন্য, এজন্যই এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিন মাসের সময়সীমা দিয়েই এই কমিশন কাজ শুরু করে। যদিও কয়েকটি কমিশন সময় বেশি নিয়েছে, তবে সেটি বড় কোনো সমস্যা নয়।
বৈঠক চলাকালীন সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান,
“মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শুরু হবে।”
বৈঠকে অংশ নিতে দুপুর সাড়ে ৩টার পর থেকে নেতারা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপস্থিত হতে থাকেন।
উল্লেখযোগ্য উপস্থিতির মধ্যে ছিলেন—
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ
এনসিপির নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন ও সারোয়ার তুষার
গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি
এছাড়াও গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, এলডিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ভাসানী অনুসারী পরিষদ এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারাও বৈঠকে যোগ দেন।
আজকের বৈঠকে মোট ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।