মৌলভীবাজারের জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে একসঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন বাবা-মেয়ে।
সোমবার (৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামে ঘটে এ মর্মান্তিক ঘটনা।
নিহতরা হলেন—হামিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইটভাটা ব্যবসায়ী বাবুল আহমদ (৬০) ও তাঁর মেয়ে, ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী হালিমা মোহাম্মদ (১৮)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদুল আজহার ছুটিতে বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন হালিমা। সাঁতার শেখার আগ্রহে তিনি সোমবার বিকেলে বাবার সঙ্গে পুকুরে নামেন। প্লাস্টিকের টিউব ব্যবহার করে মেয়েকে সাঁতার শেখাচ্ছিলেন বাবুল। একপর্যায়ে হালিমার হাত ফসকে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন।
মেয়েকে বাঁচাতে বাবুল আহমদ দ্রুত এগিয়ে যান, কিন্তু তিনিও পানির গভীরে তলিয়ে যান।
স্থানীয়রা প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে দুজনকে উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
হালিমার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৬ জুন থেকে। বাবুল আহমদ ঢাকায় স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন। তাঁর নিজের একটি ইটভাটা রয়েছে এলাকায়।
পরিবারের এক আত্মীয় ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ মিয়া জানান, সোমবার রাত ১০টায় জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে, শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান সরাসরি হামিদপুর গ্রামে উপস্থিত হন।
জুড়ী থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল হক জানিয়েছেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।