বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ। গত ২৭ জুলাই গুলশান থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল রবিবার (৩ আগস্ট) আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন রিয়াদ। এ সময় তিনি বলেন,
“আমি গরিবের ছেলে। আমি টাকার লোভ সামলাতে পারিনি। আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাই।”
এর আগে ২৬ জুলাই সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আক্তারের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন তিনি। এ ঘটনার পর তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জবানবন্দিতে রিয়াদ স্বীকার করেন, শাম্মীর স্বামী আবু জাফরের কাছ থেকে প্রথমে ১০ লাখ টাকা আদায় করেন তিনি ও তার সহযোগী জানে আলম অপু। পরে বাকি ৪০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তারা। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশ তাদের কাছ থেকে টাকাও উদ্ধার করে।
রিয়াদের পাশাপাশি ইব্রাহিম হোসেন, সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই একই সংগঠনের সদস্য ছিলেন এবং ঘটনার পর সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিয়াদসহ চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।