রাজধানীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের সংযোগকারী আধুনিক সড়ক ৩০০ ফিট দিনে-রাতেই পরিণত হয়েছে অপরাধীদের অভয়ারণ্যে। ছিনতাই, ডাকাতি ও সড়ক দুর্ঘটনার কারণে এ সড়ক এখন মানুষের জন্য আতঙ্কের সমার্থক হয়ে উঠেছে। গত পাঁচ বছরে এ সড়কে অন্তত একশ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে ছিনতাই, ডাকাতি ও দুর্ঘটনায়।
সম্প্রতি একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, রাতে কিংবা দিনের বেলায়ও মোটরসাইকেল থামিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন তারা। অনেককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে টাকা-পয়সা, মোবাইল ও মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এমনকি মোটরসাইকেল পর্যন্ত লুটে নিয়েছে তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ধ্যা নামতেই সড়ক জনমানবশূন্য হয়ে যায়। তখনই ছিনতাইকারীরা দাপট দেখায়। এলাকাজুড়ে আলো-অন্ধকার এবং পুলিশের টহলের অভাবে ভয় আরও বেড়ে যায়। যাত্রীরা বলেন, যেকোনো সময় কোথা থেকে ছিনতাইকারী এসে অস্ত্র ঠেকাবে—এমন আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সড়কটিতে ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে ২৭টি। গত পাঁচ বছরে দুর্ঘটনায় ৭৪ জন নিহত এবং ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার শিকার হয়ে ২১ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সার্কেল-গ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইসলাম বলেন, “উঠতি বয়সের ছেলেপেলেরা বেশিরভাগ ঘটনায় জড়িত। আমরা টহল জোরদার করেছি এবং জনমানবশূন্য এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছি।”
স্থানীয়রা দ্রুত অপরাধ দমনে কার্যকর ব্যবস্থা, টহল বৃদ্ধি এবং পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।