চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় আট বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক প্রবাসীকে খুনের ঘটনায় অবশেষে তার স্ত্রী নাছিমা আক্তারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বামীর হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন নাছিমা।
সিআইডির পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৭ সালে ওমান থেকে দেশে ফিরে আসেন নাজিম উদ্দিন। দেশে ফিরে স্ত্রী নাছিমার সঙ্গে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়েন তিনি। একদিন দুপুরে ঝগড়ার সময় স্ত্রীকে থাপ্পড় মারলে, নাছিমা পাল্টা ধাক্কা দেন। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান নাজিম।
পরে লাশ গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ঘরে লুকিয়ে রাখেন নাছিমা। সুগন্ধি ব্যবহার করে মরদেহ ৭ দিন পর্যন্ত ঘরে রেখে দেন। এরপর দেবর জসিম উদ্দিনের সহায়তায় বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় লাশ।
২০১৭ সালের ১৮ জুলাই অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি পচাগলা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সময় নিহতের ভাই জসিম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায়, লাশটি নাজিমের।
সিআইডির চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা বলেন, “হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে নানা নাটক সাজালেও ডিএনএ রিপোর্ট ও পুলিশের তদন্তে রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আট বছর পর ক্লুলেস এই হত্যা মামলায় সত্য প্রকাশ পেয়েছে।”
এ ঘটনায় নিহতের ভাই জসিম উদ্দিন এবং সহযোগী আবুল কালামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।