জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। সরকার পতনের পর বিভিন্ন দপ্তরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি ও ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটে। সেই সময়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে অনেক রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সাধারণ নাগরিক জীবন রক্ষার্থে সেনানিবাসে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেখানে বলা হয়,
“অস্থির ও সহিংস পরিস্থিতিতে পরিচয় যাচাইয়ের চেয়ে জীবন রক্ষা করাই ছিল অগ্রাধিকার। এটি একটি মানবিক পদক্ষেপ ছিল।”
সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয় মোট ৬২৬ জনকে, যাদের মধ্যে ছিলেন—
২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
৫ জন বিচারক
১৯ জন অসামরিক কর্মকর্তা
৫১৫ জন পুলিশ সদস্য
১২ জন অন্যান্য শ্রেণির ব্যক্তি
৫১ জন পরিবারের সদস্য (স্ত্রী ও শিশু)
তাদের মধ্যে ৫ জনকে তাদের বিরুদ্ধে থাকা মামলার ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, ১৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আইএসপিআর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৯৩ জন ব্যক্তির নামের তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় ৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই কর্মকর্তার নামও ছিল।
বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি:
সেনাবাহিনী অভিযোগ করে বলেছে,
“কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে।”
এই প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী পুরো ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করে জানায়, তারা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে জাতির পাশে থাকবে—এটাই তাদের অঙ্গীকার।












তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।