চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ জানিয়েছেন, বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ টার্গেটে ছিলেন না, হামলার লক্ষ্য ছিলেন নিহত সরওয়ার বাবলা।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতাল গেটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “স্ট্রেট বুলেট বাবলার গায়ে লেগেছে। ঘটনাস্থল বাবলার নিজ এলাকার মধ্যে ছিল, আর হামলাকারীরা তার প্রতিপক্ষ। এরশাদ উল্লাহ টার্গেট ছিলেন না।”
তিনি আরও বলেন, “এরশাদ উল্লাহ কোথায় গণসংযোগ করবেন, সে ব্যাপারে পুলিশকে জানানো হয়নি। যারা এই সন্ত্রাসী হামলা করেছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।”
কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “এটি নির্বাচনকে ব্যাহত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কি না—এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আমি বিশ্বাস করি, এর ফলে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আরও কয়েকজন। তাদের মধ্যে সরওয়ার বাবলা নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পাঁচলাইশের হামজারবাগ এলাকার একটি দোকানে নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণসংযোগ করছিলেন এরশাদ উল্লাহ। দোকান থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়। ভিডিওতে পরপর সাত রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়, এরপর দেখা যায় এরশাদ উল্লাহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, “বিকেলে গণসংযোগ চলাকালে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহর বুকের পাশে গুলি লেগে তা বেরিয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।”