সিডনি ও ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়া | CNN রিপোর্ট অবলম্বনে:
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবেনিজ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে এসেছেন, যেখানে লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন নিজ আসন হারিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন। এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির পক্ষে বিপুল জনসমর্থন লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছে ABC ও Sky News-এর প্রজেকশন।
ডাটন তার দীর্ঘ ২০ বছরের ব্রিসবেনের আসন হারিয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম বড় বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০০৪ সালে জন হাওয়ার্ডের পর অ্যালবেনিজই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলেন।

📸 Saeed Khan/AFP/Getty Images
অস্ট্রেলিয়ায় বামঘেঁষা লেবার সরকারের প্রত্যাবর্তন অনেকটাই প্রতিধ্বনিত করেছে কানাডার সাম্প্রতিক নির্বাচনে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির জয়ে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের ১০% ট্যারিফ আর বিশ্ব রাজনীতিতে ‘ধ্বংসাত্মক’ ভূমিকার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বের ওপর আস্থা নষ্ট হয়েছে। ডাটন যদিও প্রাথমিকভাবে ভালো অবস্থানে ছিলেন, কিন্তু নীতিগত অস্থিরতা ও ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনার কারণে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়।
অপরদিকে, অ্যালবেনিজ সরকার স্থিতিশীলতা ও কৌশলগত নেতৃত্ব প্রদর্শন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।

📸 David Gray/AFP/Getty Images
৪ এপ্রিল “Liberation Day” ঘোষণা করার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যালবেনিজ স্পষ্ট ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান—“এটা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ নয়।”
ডাটন বারবার ট্রাম্প-সাম্যতার অভিযোগ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে চাইলেও, ভোটারদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিচ্ছবি রয়ে যায়।
দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে অ্যালবেনিজ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, করছাড় প্রদান, বিদ্যুৎবিলের স্বল্পমেয়াদি সহায়তা এবং ১২ লাখ ঘর নির্মাণের মাধ্যমে গৃহসংকট নিরসন করবেন।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।