ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় তাদের হামলার তীব্রতা এবং পরিসর আরও বৃদ্ধি করতে ১০ হাজার রিজার্ভ সেনাকে ডেকেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা গাজায় জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
তবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারো শুরু হওয়া এই অভিযান জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইডিএফ জানায়, তারা নতুন এলাকায় অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ভূগর্ভস্থ অবকাঠামোসহ সমস্ত নিরাপত্তা বেষ্টনী ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়েছে।
রোববার (৪ মে) ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের অনুমোদন দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি এবং হামাসের হাতে আটক থাকা বাকি ৫৯ জন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিষয়ে নতুন কোনো সমঝোতা এখনো সম্পাদিত হয়নি। তাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল গাজায় আবারো অভিযান শুরু করার পর থেকে আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মি মুক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ইসরায়েল গাজার বিস্তৃত অঞ্চল দখল করেছে, যার ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আবারও বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েল বলছে, তাদের মূল উদ্দেশ্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, আর এ উদ্দেশ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। খাদ্য, পানি এবং ওষুধের সংকট তৈরি হয়েছে, যা সহায়তা সংস্থাগুলো ‘ক্ষুধার নীতি’ হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অভিযান আরো সম্প্রসারিত হলে রিজার্ভ সেনাদের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাবে, যাদের অনেককে বারবার ডাকা হয়েছে। একইভাবে, জিম্মিদের পরিবারের উদ্বেগও বেড়েছে, যাদের দাবি—হামাসের সঙ্গে চুক্তি করা ছাড়া জীবিতদের রক্ষা সম্ভব নয়।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।