মেক্সিকো সিটি, ১৪ মে (রয়টার্স) — সৌন্দর্য ও মেকআপ বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে পরিচিতি পাওয়া মেক্সিকান সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ভালেরিয়া মার্কেজ (২৩) টিকটক লাইভস্ট্রিম চলাকালীন সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাটি নারী নির্যাতনের উচ্চমাত্রার দেশটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
জালিসকো রাজ্যের প্রসিকিউটরের দপ্তর জানায়, ঘটনাটি “নারীনিধন (Femicide)” হিসেবে তদন্ত করা হচ্ছে। নারীনিধন অর্থ—নারী হওয়ার কারণে তাকে হত্যা করা। এই ধরনের হত্যায় যৌন সহিংসতা, সম্পর্কীয় হত্যাকারী অথবা প্রকাশ্যে মরদেহ ফেলে রাখার উপাদান থাকতে পারে।
ভালেরিয়া মার্কেজ জাপোপান শহরের একটি বিউটি সেলুনে কাজ করতেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক ব্যক্তি সেলুনে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার আগে মার্কেজ একটি টেবিলে বসে একটি সফট টয় হাতে নিয়ে লাইভস্ট্রিম করছিলেন। তিনি বলছিলেন, “তারা আসছে,” এরপর পেছন থেকে একটি কণ্ঠ শোনা যায়—”হেই, ভালে?” তিনি উত্তর দেন, “হ্যাঁ”, এবং তখনই লাইভের শব্দ বন্ধ হয়ে যায়।
এরপরই গুলির শব্দ শোনা যায় এবং একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি লাইভস্ট্রিমে তার ফোনটি তুলে নেয়, যার মুখ কিছুটা সময় ক্যামেরায় দেখা যায়।
ভালেরিয়া ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে প্রায় ২ লাখ অনুসারীর মালিক ছিলেন। লাইভস্ট্রিমে তিনি বলেন, কেউ একজন দামি উপহার নিয়ে এসেছিল যখন তিনি সেলুনে ছিলেন না। এতে তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং সেই ব্যক্তিকে ফিরে না আসার অনুরোধ করেছিলেন।
জাতিসংঘের ইকোনমিক কমিশন ফর লাতিন আমেরিকা অ্যান্ড দ্য ক্যারিবিয়ানের তথ্যমতে, প্রতি ১ লাখ নারীতে ১.৩টি করে নারীনিধনের ঘটনা ঘটে, যা মেক্সিকোকে এই অঞ্চলের মধ্যে প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে ও বলিভিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রেখেছে।
TResearch-এর তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৪ থেকে প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবামের মেয়াদ শুরুর পর থেকে জালিসকো রাজ্যে ৯০৬টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশটির মধ্যে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।