ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে। রোববার (১৮ মে) দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এই অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান।
দুদকের গঠিত দল শেখ হাসিনার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, আয়কর নথি, ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের রেকর্ড যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করবে।
এর আগে প্লট জালিয়াতি, অর্থ পাচার এবং সরকারি প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের একাধিক মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দের ঘটনায় চার্জশিট দাখিলের পর আদালত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
দুদকের অভিযোগপত্রে শেখ হাসিনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। এই চার্জশিটগুলো পৃথক ৬টি মামলায় দাখিল করা হয়েছে।
এছাড়া, বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে বিমানবন্দর উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে, শেখ হাসিনা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, এবং সাবেক সচিব মোকাম্মেল হককে দুদক তলব করেছিল। তবে এখনও পর্যন্ত সেই তলবের জবাবে কেউ কোনো সাড়া দেননি।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।