আন্তর্জাতিক / চীনা কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকা বিভ্রান্তিতে ভরা: ভুল নাম-ঠিকানা, পুরনো তথ্যে অচলাবস্থা

চীনা কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকা বিভ্রান্তিতে ভরা: ভুল নাম-ঠিকানা, পুরনো তথ্যে অচলাবস্থা

by নিউজ ফ্রন্টলাইন বিডি ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত চীন ও হংকংয়ের অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্য ভুল

রয়টার্সের অনুসন্ধানে ২৫% এন্ট্রিতে মিলেছে ভ্রান্তি

একই নামে নিরীহ ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ব্যাংক

কিছু প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষিদ্ধ সামগ্রী রাশিয়ায় পাঠিয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তথ্য হালনাগাদে সীমিত সক্ষমতা স্বীকার করেছেন

হংকংয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দরজার লক ও হার্ডওয়্যার বিক্রয়কারী ডরিস আউ গত বছরের জুনে তার ব্যাংক, ডিবিএস গ্রুপ থেকে একটি চিঠি পান। সেখানে জানানো হয়, তার ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। অল্প কিছু ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও পরবর্তীতে সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়, যার ফলে আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের সঙ্গে তার ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।

অনলাইনে অনুসন্ধান করে আউ জানতে পারেন, তার প্রতিষ্ঠানের নামের মতোই এক কোম্পানি ২০২৩ সালের অক্টোবরে মার্কিন কালো তালিকায় যুক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যে যে দুইটি ঠিকানা উল্লেখ ছিল, তার একটিই আউ-এর গুদাম।

“আমরা সেই প্রতিষ্ঠান নই। এটা পুরোপুরি ভুল,” বলেন আউ।

রয়টার্সের অনুসন্ধান বলছে, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় যুক্ত হওয়া চীন ও হংকংয়ের প্রায় ১০০টিরও বেশি কোম্পানির মধ্যে ২৬টির তথ্য ছিল ভুল—যেমন ভুল নাম, ঠিকানা বা পুরনো তথ্য। কিছু ঠিকানায় গিয়ে দেখা গেছে সেখানে বর্তমানে রয়েছে বিউটি সেলুন, টিউশন সেন্টার, কিংবা পুরনো ধ্বংসপ্রাপ্ত ফ্যাক্টরি।

তবে অন্যদিকে রয়টার্স এমন কিছু কোম্পানির সন্ধানও পেয়েছে যারা মার্কিন নিষিদ্ধ প্রযুক্তি রপ্তানির বিধি লঙ্ঘন করে রাশিয়ায় পণ্য পাঠিয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানের অনেক সময় ভুয়া ঠিকানা, কাগুজে কোম্পানি এবং শিপিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সীমাবদ্ধতা পাশ কাটানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দফতরের অধীন ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি (BIS) এই কালো তালিকা পরিচালনা করে। সাবেক BIS কর্মকর্তা ম্যাথিউ বোরম্যান বলেন, “এই প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকানা পাল্টে বা নতুন নামে উঠে দাঁড়ায়, ফলে নজরদারি কঠিন হয়ে পড়ে।”

BIS-এর পাঁচজন সাবেক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে ভুল তথ্য চিহ্নিত ও হালনাগাদে তারা জনবল সংকটে ভুগছেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক ডিবিএস ব্যাংক আউ-এর ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।

সম্পর্কিত খবর

আপনার মন্তব্য দিন

Frontline Bd

আপনার কণ্ঠস্বর, আমাদের দায়িত্ব।
We bring you fearless journalism, breaking stories, and truth from the frontlines.

ফিচার পোস্ট

বিজ্ঞাপন

মূল্য তালিকা (প্রিন্ট ভার্সন)

২০২৫ © Frontline BD কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত