মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিয়ে, সাহসী চরিত্রে বলিউডে জনপ্রিয়তা, প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস, আর বলিউডের বিতর্ক—এইসব মিলিয়ে মাহি গিলের জীবন যেন এক জীবন্ত সিনেমার চিত্রনাট্য।
চণ্ডীগড়ের মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মাহি, যার আসল নাম রিম্পি কউর গিল, স্বপ্ন দেখতেন সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার। কিন্তু প্রশিক্ষণের সময় প্যারাশুট দুর্ঘটনায় সেই স্বপ্ন থেমে যায়। নাটকে স্নাতকোত্তর করে ধীরে ধীরে অভিনয়ে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

২০০৩ সালে পাঞ্জাবি সিনেমায় অভিষেক, এরপর ২০০৭ সালে বলিউডে যাত্রা শুরু। কিন্তু ভাগ্য ফেরে অনুরাগ কাশ্যপের ‘দেব.ডি’ ছবিতে সাহসী চরিত্রে অভিনয় করে। তারপর ‘দবং’, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার’-এর মতো সিনেমায় নজর কাড়েন তিনি।
তবে বলিউডে মাহির পথচলা সহজ ছিল না। একাধিকবার ‘কাস্টিং কাউচ’-এর শিকার হন তিনি। মাহি নিজেই জানান,
“সালোয়ার পরে অডিশনে গেলে কেউ কাস্ট করবে না, এমন কথাও শুনেছি। এমনকি একজন পরিচালক আমাকে রাতে স্লিপিং ড্রেসে দেখতে চেয়েছিলেন।”
এসব অপমান সহ্য করে লড়াই চালিয়ে গেছেন মাহি।

তার ব্যক্তিগত জীবনও কম রোমাঞ্চকর নয়। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিয়ে, পরে বিচ্ছেদ। ২০১৯ সালে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন তিনি, তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালে অভিনেতা রবি কেশরকে বিয়ে করেন মাহি।
তার নাম জড়িয়ে গিয়েছিল পরিচালক তিগমাংশু ধুলিয়া, অভিনেতা রণদীপ হুডা ও জিমি শেরগিলের সঙ্গেও, যদিও মাহি এসব বিষয়ে সবসময় নীরব থেকেছেন।
‘দেব.ডি’–এর পর যখন মাহির ক্যারিয়ার উর্ধ্বমুখী, তখন হঠাৎই ‘দবং’-এর পর তাকে কেবল ছোট চরিত্রে দেখা যেতে থাকে। সেই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মাহি। এমনকি তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর্থিক প্রতারণা করায় তিনি প্রায় দেড় বছর ডিপ্রেশনে ভুগেছেন।

তবুও থেমে যাননি তিনি।
২০২৪ সালে অজয় দেবগনের ‘নাম’ সিনেমার মাধ্যমে আবার পর্দায় ফিরে আসেন। এখন তিনি কিছুটা আড়ালে, বলিউডের কোলাহল থেকে দূরে।
ইনস্টাগ্রামে মাহির লাখ লাখ অনুরাগী রয়েছে, যারা তাকে সাহসী নারী এবং স্বকীয়তায় অনন্য একজন অভিনেত্রী হিসেবে সম্মান জানায়।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।