ভারতের মধ্যরাতের সশস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের ছয়টি অঞ্চলে অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন বছরের একটি শিশু ও একাধিক নারী রয়েছেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, পাল্টা জবাবে পাকিস্তান তিনটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ও একটি চেকপোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটি কাপুরুষোচিত ও উসকানিমূলক হামলা। আমরা উপযুক্ত জবাব দিয়েছি এবং দিয়ে যাব।’
বাহাওয়ালপুরের আহমদপুর ইস্টে সুবহান মসজিদে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫ জন নিহত হন, যাদের একজন শিশু। আহত হন আরও ৩১ জন। এছাড়া মুজাফফরাবাদের বিলাল মসজিদ, কোটলির আাব্বাত মসজিদ এবং মুরিদকের উমালকুরা মসজিদেও বিস্ফোরণ ঘটে।
পাল্টা জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতের ভাটিন্ডা, আখনূর ও আওয়ান্তিপোরা এলাকায় হামলা চালিয়ে তিনটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর দাবি করেছে। পাকিস্তানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভি জানিয়েছে, অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলেন, ‘ভারত প্রমাণ ছাড়াই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের প্রতিরোধ চলমান এবং চলবে।’
পাকিস্তান সরকার আবারও পহেলগামের পর্যটক হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, ‘শান্তির বার্তাকে দুর্বলতা মনে করা উচিত নয়। এই হামলার জবাব অত্যন্ত কঠোর হবে।’
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।