বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস হিসেবে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করে। এ বছর বাংলাদেশে দিনটি পালিত হয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, দোয়া ও শান্তির আহ্বানের মাধ্যমে।
শনিবার সকালে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে “জশনে জুলুস” নামে শোভাযাত্রা শুরু হয়, যা দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার উদ্যানে ফিরে আসে। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া মাইনিয়া মাইজভাণ্ডারিয়ার প্রধান ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) সভাপতি সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।
ভোর থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মুসলমান শোভাযাত্রায় যোগ দেন। অংশগ্রহণকারীরা সাদা পাঞ্জাবি-টুপি পরে, কালেমা সম্বলিত পতাকা ও প্ল্যাকার্ড হাতে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেন। এ বছর উদযাপন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীর ১,৫০০তম বছর।
শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাইজভাণ্ডারী বলেন, “নবী মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ আশীর্বাদ। তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সমাজে প্রকৃত শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে হাজারো ভক্ত-অনুরাগীর অংশগ্রহণে এবারের ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠান পরিণত হয় ঐক্য, সম্প্রীতি ও মানবতার এক মহাসমাবেশে।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।