পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের প্রথম প্রহরে ভারত “অপারেশন সিন্দুর” নামের একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের অন্তত তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার।
বুধবার এক বিবৃতিতে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল এমন সন্ত্রাসী অবকাঠামো, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ভারত সরকারের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমাদের পদক্ষেপগুলো ছিল কেন্দ্রীভূত, পরিমিত এবং উত্তেজনাহীন। কোনো পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।”
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ISPR) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, কোটলি, মুজাফফরাবাদ এবং ভাওয়ালপুর অঞ্চলে এই ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা চালিয়েছে ভারত।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলোর বরাতে জানা যায়, মুজাফফরাবাদ শহরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইসলামাবাদে আল জাজিরার প্রতিনিধি কামাল হায়দার বলেন, “যেসব লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কোটলি ও মুজাফফরাবাদ। পরিস্থিতি এখনও ‘তরল’ অবস্থায় রয়েছে।”
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র টিভি চ্যানেল ARY-কে জানান, দেশটির ভূখণ্ডে হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারত সেই ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। তবে পাকিস্তান তাদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।