ঢাকার তেজগাঁও কলেজে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর ও অবরুদ্ধ করার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মারধরের শিকার ওই দুই শিক্ষার্থীকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যদিকে, ছাত্রদলের দাবি—ওই দুজন আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনার জেরে কলেজ এলাকায় পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছে এনসিপি ও ছাত্রদল।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ইমাউল হক বলেন, “বিকেলে খবর পাই, দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখি, তখন তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এনসিপির একজন এসে জানান, তারা তাদের কর্মী।”
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী মুনতাসির মাহমুদ জানান, “জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেওয়া আমাদের দুই কর্মী সুমন ও রাফসানের ওপর ছাত্রদল হামলা চালায়। তারা প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রথমে কলেজ প্রশাসন জানায় যে সিসিটিভি নেই। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেসব জায়গায় ক্যামেরা আছে, তবে তা বন্ধ ছিল।”
অন্যদিকে তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন খান বলেন, “যাদের মারধর করা হয়েছে তারা এতদিন ছাত্রলীগের রাজনীতি করছিল। ৫ আগস্টের পর ‘বৈষম্যবিরোধী’ হয়ে গেছে।”
তিনি দাবি করেন, “তাদের ছবি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা শান্তর সঙ্গে ছড়িয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের আটকায়। সেই সময় ছাত্রদলের কিছু কর্মীও সেখানে ছিল।”
ঘটনার এখনো কোনো মামলা হয়নি। এনসিপির পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।