ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী এলাকা ঝুঁকি অনুযায়ী লাল, হলুদ ও সবুজ জোন ভাগ করে সশস্ত্র বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে ইসির নির্বাচন পরিচালনা অধিশাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো শনাক্ত করা, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা তাদের মূল লক্ষ্য।
ইসির সূত্রে জানা যায়, জুলাই সনদ অনুযায়ী গণভোটের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। এজন্য কমিশনকে মানসিক ও কৌশলগতভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপালনরত বাহিনীগুলোকে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সঠিক সময়ে পাঠানো, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা এবং নির্বাচনের পূর্বে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন প্রযুক্তি ব্যবহার, সামাজিক মাধ্যম পর্যবেক্ষণ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রয়োগে আগাম প্রস্তুতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
কমিশন একই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র ও কালো টাকা ব্যবহার রোধের আধুনিক পদ্ধতি, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র শনাক্তকরণ এবং কমিশনে সময়মতো তালিকা দাখিলের বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। মোট ২০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসি জানায়, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দিন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধ করা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপদ ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে।