রাজধানীর ধানমণ্ডির ৬ নম্বর রোডের ২৯ নম্বর বাসার ভাড়াটিয়া শাহিন মোহাম্মদ সোলায়মান মোল্লা (৫০) দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী ও বিদেশগামীদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছেন। সম্প্রতি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, তিনি মানবপাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের মূল হোতা। শাহিনের প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যবসায়ী ও বিদেশগামীরা সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের এক দম্পতিকে লন্ডনে বাড়ি ও ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শাহিন তাদের কাছ থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা এবং উত্তরা এলাকার চারটি ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির মাধ্যমে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। শুধু তাই নয়, দম্পতিকে ফিলিপিন্সে নিয়ে জিম্মি করে আরও অর্থ দাবি করেন তিনি। দেশে ফিরে এসে দম্পতি তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ছাড়া মিরপুরের বাসিন্দা মফিজ উদ্দিনকে লন্ডন পাঠানোর কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ফিলিপিন্সে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, অ্যামরুজ কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম শাহিনের বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন ও জোরপূর্বক নথিপত্র দখলের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। শাহিন ওই ব্যবসায়ীকে নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি, গাড়ি ও পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দখল করে নেন বলে জানা গেছে।
অবশেষে সোমবার ধানমণ্ডি থেকে শাহিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার স্ত্রী এনালিজ ইভাস্কো ওরফে ফাতেমাসহ আরও কয়েকজন সহযোগীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, শাহিনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে এবং তার প্রতারণা চক্রকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।