কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের স্রোতের টানে ভেসে যাওয়ার ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে। এ অবস্থায় রেসকিউ বোট নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন সী সেইফ লাইফ গার্ড কর্মীরা। সৈকতের কলাতলী, লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে সৃষ্ট একাধিক গুপ্তখাল এলাকাই দুর্ঘটনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।
বর্তমানে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাত্র ২৭ জন লাইফ গার্ড কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু লাখো পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই জনবল ও সরঞ্জাম যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
লাইফ গার্ড কর্মী আমির খান জানান, “সৈকতে ঝুঁকিপূর্ণ ক্যানেল রয়েছে। এই ক্যানেলগুলো অনেক গভীর। অনেক পর্যটক সাঁতার জানেন না, তবুও তারা সেই এলাকায় চলে যান।”
অন্য কর্মীরা জানান, জোয়ারের সময় গুপ্তখাল আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। দুর্ঘটনার বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটে তাদের দায়িত্বকেন্দ্রের বাইরের এলাকায়।
গত কয়েকদিনে সৈকতে ৪ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর আতঙ্কে রয়েছেন অনেকেই। পর্যটকদের দাবি—বিপজ্জনক এলাকা চিহ্নিত করে সতর্কতা বাড়ানো হোক এবং গার্ডদের সংখ্যা ও প্রস্তুতি বাড়ানো হোক।
বিপুল রাজস্বের উৎস হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ৩টি রেসকিউ বোট দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল বলেন, “সৈকতের কোথায় গোসল করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিত।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম জানান, “লাইফ গার্ড কর্মীরা সজাগ রয়েছেন ও সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করছেন।”
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে কক্সবাজার সৈকতে ৮ জনের মৃত্যু এবং ৮০ জন পর্যটককে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
⸻ সত্য ও নির্ভরযোগ্য সংবাদের জন্য চোখ রাখুন — নিউজফ্রন্টলাইন বিডি।